Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 4 July 2019

এই না হলে প্রাথমিক শিক্ষক! আদৌ বেতন বৃদ্ধি হবে কিনা ঠিক নেই, মুখে বলা হয়েছে, তাতেই ধন্যবাদ।

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল, সবে মাত্র কয়েক টা কথা বলেছেন, যে বেতন বৃদ্ধি করা হবে। আবার কে বলল শিক্ষা মন্ত্রী, আমি বুঝতে পারছি না, এই সরকার আসার পর কবে অন্য মন্ত্রীদের কথায় কাজ হয়েছে। একমেব অদ্বিতিয়ম, মুখ্যমন্ত্রী না বললে একটা গাছের পাতাও নড়ে না। তিনি একবারও বলেন নি। এই সরকার যা বলে করে তার উল্টো, দেখচ্ছ না এখন কাট মানি নিয়ে কি হচ্ছে। একদিকে কাট মানি ফেরত দিতে বলছেন, আরেক দিকে কাট মানি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, সচেতন ভাবে, আবার প্রাথমিক শিক্ষক উপর নানা ভাবে, মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, নানা ধরনের আদেশ নানা নামে অফিসার, পড়ানোর জন্য সিলেবাসে কিছু নেই কিন্তু তার কাগজ তৈরি করতে করতে পাগলা হতে হবে। একশ পাতা পড়ানোর পর, দশ নম্বরের প্রশ্ন ছাত্র বুঝতে পারছে না, কি হবে শিক্ষকের অবস্থা তথৈবচ দশ নম্বর কত খন সময় দেবে। কত গুলো প্রশ্ন করা যাবে, কখনো হাফ নম্বর কখনও এক নম্বরের দেওয়া হচ্ছে, চারটি প্রশ্ন, কি যে অদ্ভুত পরিস্থিতি যারা এখন এই সরকারের আমলে শিক্ষকের চাকরি করছে তারাই বুঝতে পারছে, কি চলছে। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী বাদ, ওরা আগে প্রথম শ্রেণীতে পড়ত কিশলয় গনিত ইংরেজি পড়ছে ।আর এখন মজারু কাটুম কুটুম আর কিছুই নেই ও গুলোতে কিছু নেই। এই কারণেই প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে কেউ ভর্তি করতে চায় না। কারণ একটা পরীক্ষা নেওয়ার অধিকারও নেই, শিক্ষকদের, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির গনিত ও তো ওরা নার্শারি তে শিখেছে, কোনো ধারাবাহিকতা নেই, ঐ হ-য-ব-র-ল বই এর বাইরে পড়তেই হবে। বাইরের কোনো ভালো বই ভুলেও পড়ালে, শাস্তি পেতে হবে। এই সব কারণে ছাত্র ভর্তি হতে চাই ছে না প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে, গত কয়েক বছর ধরে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি কমছে। আসলে এই ভাবে শিক্ষক নিয়োগ না করে, যাচ্ছেতাই একটা সিলেবাস করে মূল্যায়ন ব্যবস্থা কে ভুল ভাল নিয়মে গায়ের জোরে চাপ সৃষ্টি করে করতে বাধ্য করা। সর্বশিক্ষা মিশনের নানা ফিরিস্তি যে গুলোতে আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। যদি কাজ হতো তাহলে ঐ ডাইসে থাকে শ্রেণী কক্ষ মেরামতির প্রয়োজন কিনা। বারবার দেওয়া সত্ত্বেও কোন কাজ হয় না। তার প্রমাণ ঐ যে পুরুলিয়া না বাঁকুড়া জেলার একটি বিদ্যালয়ে ছাদ ভেঙে পড়েছে। বছর বছর টাকা আসে, হাজার টাকার এক জোড়া বেঞ্চ, পাঁচ শ টাকার আলমারি কোথা থেকে হবে তার ঠিক নেই কিন্তু করতে হবে। না হলে ছাড়া নেই, ইউ সি তাকে দিতেই হবে। কারণ শিক্ষকের বেতন দেন কি না। ঐ বেতন থেকে খরচ করে বাড়িত টাকা দেবে, যেমন খেলা হয় বছরে একবার তো, শিক্ষক কেন চাঁদা দিয়ে খেলা করবে না। এই কারণেই গত বছর চাঁদা দেয়নি তার জন্য সিঙ্গুর ব্লকের এ আই এবং একজন বিখ্যাত এস আই (কামার কুণ্ডু) নিয়োগ করে রেখেছেন। তিনি তো নিজে কে মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন, নিজের মতো আইন তৈরি করেন, আর সেই সব আইন শিক্ষকরা না শুনলে শো কজ, তার পর ডি আই কে দিয়ে বদলি না হলে বেতন বন্ধ। এসব দেখেও সে দিন তৃণমূল শিক্ষা সেলের মিছিলে কারা হেঁটে ছিল আমার জানা নেই, আমার তো মনে হয় ওই মিছিলের অনেকেই শিক্ষক নয়, কারণ যে প্রকৃত শিক্ষক হবে, সে এই সরকারের আমলে কোনো না কোনো ভাবে লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, মাসের এক তারিখে বেতন দেওয়ার লক্ষ হচ্ছে, ঐ বেতনের বেশ কিছু টাকা যাতে বিদ্যালয়ের জন্য খরচ করতে পারে। এই জুতো নিশ্চয়ই শিক্ষকরা এস আই অফিস থেকে ভ্যান ভাড়া দিয়ে নিয়ে গেছেন। কম বেশি এক থেকে দেড় শ টাকা, কোনো টাকা নেই,ঐ বই নিয়ে যাওয়ার মতো, তবুও বই নিয়ে গেলে দু বারে আড়াই শ টাকা ভাড়া লাগলে দিল, পঞ্চাশ টাকা, কতো সুন্দর ব্যবস্থাপনা। এ সব যদি শিক্ষক না করলে চলে, দশ বারো বছর আগে পঞ্চায়েত মার্ফৎ বই দেওয়া হতো। এখন সরাসরি শিক্ষকের দায়িত্ব, এরপর আছে, মি ডে মিলের টাকা চাল, এই ক'মাস ৪.৩৫ টাকা করে দিচ্ছেন, কতো রকম ভাবে যে প্রসার দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টাকায় না কুললেও খাওয়াতে হবে, টাকা দেওয়া হোক আর না হোক ধার করেও খাওয়াতে হবে। টাকা না দিলে শিক্ষকের বেতন তো আছে, তাই বলছি যারা এই সরকার কে বা তার মন্ত্রী কে বিশ্বাস করে মিছিল করে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। একদিন এই সব অফিসার বা কর্মী কে দিয়ে এমন অপমান করবে, ভেবে পাবে না। এ সরকার মুখে যা বলে করে তার উল্টো, শুধু ভাবে গায়ের জোরে ভয় দেখিয়ে সমর্থন আদায় করব, অর্থাৎ ভয় পেয়ে আমার দলে আসবে আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবে। পুলিশ কে ভয় দেখিয়ে দলে টেনেছি, যতই খুন খারাপি হোক কেস হলেও আমার দলের কাউকে ধরবে না। সেই রকম সব কর্মী কে ভয় দেখিয়ে দলে আসবে, বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, যতক্ষণ না খেয়ে আঁচাছে, ততক্ষণ বিশ্বাস নেই। এই নিয়োগ দোব, শিক্ষক দের বদলি হলো বলে, এখন আন্দোলনের চাপে বেতন বাড়ল বলে। আমি যতটুকু বুঝি এই ভাবে বেত কমিশন বা বেতন বাড়বে বাড়বে করে, ২০২১ সালের বিধানসভা পার করে দেবে, বেতন বৃদ্ধি হবে না আর বেতন কমিশন আরও দূর অস্ত। কাজ না করলে শাস্তি আছে,যা বেতন পাচ্ছেন সেটাই অনেক ওর থেকেবেবেশি আসা করা উচিত নয়। আমি জানি না যারা মিছিলে হাঁটতে গেলেন তারা এসব জানেন কি না, হয় তো জানেন তবুও গেছেন, ঘেউ ঘেউ করতে,থুরি এরা ঘেউ ঘেউ করে না। কারণ এদের বেতন বৃদ্ধির দরকার নেই, এদের বেতন না  দিলেও চলবে। মোটের উপর এই সরকারের আমলে স্বাধীনতা নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...