Anulekhon.blogspot.com

Monday, 4 February 2019

আজ কাল এও নাকি মদ খাচ্ছে।.

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে  জানি না এছবিটি ফটোশপ করা হয়েছে কি না? তবে রাজ্যের যত্রতত্র যে ভাবে মদের দোকান খোলা হচ্ছে, তাতে করে এরাও যদি মদ না খায় তবে বিক্রি হবে কী করে? আমাদের রাজ্যের রাজস্বর বেশিরভাগ আসে মদ থেকে, মদ খেয়ে না উলু খাগড়া সাজবে কী করে? এই যে নাটক আজ রাজ্যে চলছে এতে করে কত উলু খাগড়া মারা যাবে নিজেদের মধ্যে তার ঠিক নেই। সবাই জানি সারদা নারদা রোজভ্যালীর টাকা কী হয়েছে। 2013 সালে SIT গঠন করে তার মাথায় যাকে রেখে ছিলেন তিনি সব তথ্য লোপাট করে দিয়েছেন।সেই সময় কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় সি বি আই তদন্ত যাতে হয়, সেই রায় দিতে দেরি করে দিয়ে ছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসতে আসতে তত দিনে প্রায় দু বছর লেগে গিয়েছিল। তবু তো কোর্ট তাড়াতাড়ি রায় দিয়েছিল, সাধারণ মানুষের মামলা হলে পঁচিশ বছর পর রায় দিত। এই যে ডিএ মামলা চলছে সত্যিই বিচারক দের খুরেখুরে নমস্কার, বুঝিয়ে দিচ্ছেন এর নাম বিচার ব্যবস্থা, যা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে দেখিস ছাগলে মদ খেলে হয় তো একটু বেশি খাবার খাবে, কিন্তু তোরা ঐ মিটিং মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করবি না। কারণ নেতা নেত্রীরা তাদের মাসিক ইনকাম কোটি টাকা থেকে এক টাকাও তোদের দেবে না। কেবলমাত্র সারদা নারদা রোজভ্যালীর আর যেসব চিটফাণ্ডের টাকা খেয়েছে সেই সব নেতা মন্ত্রীরা ফুলে ফেঁপে ঢোল হবে। দেখছিস না ভাইপোর কী অবস্থা কীছুই করে না ফুলে ফেঁপে ঢোল পাঁচ তলা ওঠার জন্য রানিং সিঁড়ি আছে বাড়িতে। তোরা হচ্ছিস ঐ ছাগলের মত উলু খাগড়া রাজায় যুদ্ধ হয় আর উলু খাগড়ার প্রাণ যায়। কত গরীব মানুষের টাকা গেছে কত কোটি কোটি টাকা চুরি কমিশনের (শ্যামল সেন ) সেখানে যার জমা দশ হাজারের কম তাদের চেক দিয়েছে মুখে বলছেন এক দিয়েছে আর এক, অনেকে চেক পেয়েও টাকা পায়নি। ও টাকা আমাদের কর বা ট্যাক্সের টাকা, মনে পড়ে বেশি করে সিগারেট খেতে বলে ছিলেন। একবার ভেবে দেখ ভাই সারদা নারদা রোজভ্যালীর মতো চিটফাণ্ডের টাকা কে খেল? ছাগল কী না খায়, তোরা তো মানুষ তাই রাজায় রাজায় যুদ্ধ হোক তোরা মদ মাংসের লোভে আর একটু ভিক্ষা পাওয়ার জন্য মারা মারি করে মরিস না। কোন নেতা মন্ত্রী তাঁদের কোটি টাকার আয় থেকে একটু ভাগ তোদের দেবে না। আমি রাজায় রাজায় যুদ্ধ হোক উলু খাগড়ার প্রাণ না যায়। কারণ নেতা মন্ত্রীরা দেহরক্ষীর ঘেরা টোপে থাকে ওদের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবেন না। আমি জানি এটা একটা চরম নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, কারণ রাজ্যের কর আদায় বলতে কিছুই নেই, কেবল মদ আর পেট্রোলের সেস দিয়ে রাজ্য চলে না। বাজার অর্থাৎ বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে রাজ্য চলছে, এই বাজেটে যা ঘোষণা হবে সব করার মতো করের টাকা নেই। সেই জন্যই যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে দেওয়া যায় সেটা আগেই রাজ্য পালের সাথে মিলে ঠিক করা হয়েছে। সেই জন্যই পশ্চিমবঙ্গের মা নিজেই বলেছেন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। এই নোংরা রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরিস না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...