আমি আমার ব্লগে অনেক আগেই লিখেছি, যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বাঙালি হিন্দু জাতি টা কে ধ্বংস করার জন্য। এই বিষয়ে আমি আমার ব্লগে অনেক লেখা লিখেছি। আমরা বাঙালি ওরা বাঙাল, কিছু দিনের আগের লেখা বাঙালির জীবন থেকে কাঁটা তারের বেড়া আর গেল না। আমি জানি না কতজন পড়েছেন, আজ আবার লিখতে শুরু করেছি। আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্তর বছর আগে, সত্তর বছর আগে এরকম অবস্থা ছিলো না কারণ তখন বাংলা ভাগ হয়নি। 1905 সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগারের চেষ্টা করে ছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেন নি, কারণ তখন অনেক বিখ্যাত মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু করে ছিলেন। সেই আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গ ভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হন। সেই বিখ্যাত বাঙালি গন এখন আর নেই, এখন অর্থাৎ স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী বাঙালি, মিরজাফরের বংশ ধর দিল্লির সেই সব নেতার পা চেটে ক্ষমতা বা গদি ও মন্ত্রী হবার লক্ষ্যে যারা বাংলা ভাগ করে দেশের স্বাধীনতা নিল একজন প্রধানমন্ত্রী হবার লোভে আগে থেকেই ইংরেজ পা চাটত মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে মিথ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে জেলে যেত যদি কেউ খুন করে দেয় সেই ভয়ে। আর একজন একজন অন্য ধর্মের মানুষ কে নিজের পদবী দান করে বংশ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। আমার তো মনে হয়, ঐ বিধর্মী ঐ বিখ্যাত মহাপুরুষের অবৈধ সন্তান। আর এই সব মহান পুরুষ বাংলা ভাগ করে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। বাংলা মায়ের দামাল ছেলে ও সুসন্তান বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ কে কায়দা করে দেশে ফিরতে দেয়নি। আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারের নামে প্রহসন, এই মহা শয়তান দুজনে প্রথম আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা দের পাশে দাঁড়ানি, যখন মুম্বাই এ নৌ সেনা বিদ্রোহ ও দেশের নানা প্রান্তে সেনা বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তখন সব মহান ব্যারিস্টার দ্বয় কালো কোর্ট গায়ে নেমে পড়েন প্রহসনে যঢ়যন্ত্র করে সুভাষ কে যুদ্ধ বন্দী ঘোষণা করে, আজাদ হিন্দ বাহিনীর কিছু সেনার মুক্তি দিতে সাহায্য করেন। এরা জানত একমাত্র বাঙালি জাতি পারে তাদের সরিয়ে ঐ পদ দখলে নিতে, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু রা তাই তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য দাঙ্গায় মদত দিতে একজন নোয়াখালী চলে গিয়ে ছিল । ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি হিন্দু দের কোথায় ঠাঁই হলো। আন্দামানে দন্ডকারণ্যে তাদের জন্য না করা হলো বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা হলো রুটি রুজির ব্যবস্থা। আর এই সমস্যা এপার বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারল না, আর যারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বা গদিতে বসল তারা দিল্লির ঐ মহা শয়তানের দের তেল মালিশ করা ব্যক্তি, সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা না করে নিজের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত, নিজেরা করল দেশ প্রচার করা হলো ইংরেজ করে দিয়েছে । শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী না থাকলে আজকের এই বাংলাও থাকতো না হিন্দু দের জন্য । আর লাখ লাখ হিন্দু ভগবানের দোহাই দিয়ে সব ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে পড়ল। এখন ও সময় আছে স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও যে সব নেতা আমাদের ঠকিয়েছেন, যারা নিঃস্ব করে দিয়েছে, যারা আমাদের স্বজন কে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে । আসুন সেই সব দালাল দের আমরা সমর্থন করব না। আমার লেখা পড়ে কম লোকই নমস্কার আমি আগেই বলেছি ছবি পেয়েছি ।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment