Anulekhon.blogspot.com

Friday, 18 July 2025

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।



উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি BLO ডিউটি পেয়েছেন তিনি আবেদন করছেন তার সহকর্মী দের কাছে যাতে এই ডিউটি চলাকালীন তার অনুপস্থিত তে তার কাজ মানে পঠনপাঠন মূল্যায়ন ইত্যাদি যা তিনি করেন সেটা যেন বজায় থাকে অন্য কেউ করে দেয়। তার মানে তিনি ঐ BLO ডিউটি করবেন স্কুলে আসবেন না। আর BDO তে ট্রেনিং সেটাও ১১ টা থেকে অর্থাৎ স্কুল না করেই যেতে হবে। সেই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কোনো চিঠি বা বি ডিও কোনো চিঠি স্কুল কে দেবে না যে ঐ দিনের অনুপস্থিতি বা ঐ ডিউটি চলাকালীন অনুপস্থিতি গুলো ON ডিউটি না অন্য কিছু ছুটি না স্কুলের কাজ করে ঐ ডিউটি করতে হবে। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তে পরেছে স্কুল গুলো বর্তমান শাসকের কারণে আগেও মানে বাম আমলেও এই সব ডিউটি দিলে স্কুল কে চিঠি দেওয়া হত, সেখানে লেখা থাকত যে স্কুলের ডিউটি করার পর ঐ কাজ করতে হবে। যাতে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সহ অন্যান্য কাজ বন্ধ না হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার তথা প্রশাসন এবং তৃণমূল শিক্ষা সেলের শিক্ষক শিক্ষিকা দের গা জোয়ারির জন্য আজ এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে BLO বা ভোটার লিস্টের কাজ করা মানে সেটা ON DUTY অর্থাৎ আরামে দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে না এসে পঠনপাঠন কে ডকে তুলে দেওয়া। যদিও এই সরকার এবং ঐ সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বর্তমান সিলেবাস সব মিলে প্রাথমিক শিক্ষা প্রায় শেষ। কোনো কোনো বিদ্যালয় ওর মাঝে যেটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছে সে টুকুও যাতে বন্ধ হয়ে যায় তার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলল এই প্রশাসন কারণ অনেক বিদ্যালয়ে এক দুজন করে শিক্ষক সেখান থেকে এবং যে সব বিদ্যালয়ে সব শিক্ষা সেলের শিক্ষক সেখানের সব শিক্ষক শিক্ষিকা এই BLO নিয়োগ পত্র পেয়েছেন। একে তো এই সব শিক্ষক শিক্ষিকারা চায় স্কুলে না এসে না পড়িয়ে অর্থাৎ কাজ না করে ঘরে বসে বসে বেতন পেতে আর সরকার তথা প্রশাসন ও সে ব্যবস্থা পাকা করে দিচ্ছে। লেখা পড়া শিখে কি হবে লেখা পড়া না করে অল্প শিক্ষিত হয়ে বড় বড় নেতা হবে বা বোমা শিল্পে তোলাবাজি শিল্পে যোগ দিলে অনেক টাকা অল্প দিনের মধ্যেই অট্টালিকা তৈরি কোটি কোটি টাকা। উদাহরণ চোখের সামনে সব ঘুরে বেড়াচ্ছে 280 টাকার লেবার এখন 280 কোটির মালিক। স্ব নামে বে নামে সম্পত্তি কত তার বা তাদের কেউ জানে না। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে নিজের দলের মধ্যেই লড়াই শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এটাও ঠিক ঐ শিক্ষক কতটা দায়িত্ব শীল অন্য সহকর্মী কে বলছে ডিউটি চলাকালীন আমার অনুপস্থিতিতে, তার কাজ গুলো যেন করে দেওয়া হয়, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদত আছে যে তোমাকে ডিউটি দিয়েছি তুমি স্কুলে যাবে না দেখি প্রধান শিক্ষক বা টি আই সি কি করে? আমরা ( প্রশাসন) স্কুল কে লিখত দোব না যে ওটা অন ডিউটি না স্কুলের কাজ করে ঐ ডিউটি করতে হবে। সত্যিই এই প্রশাসনের জবাব নেই তবে ভাববেন যে সকল অন্য সংগঠনের শিক্ষক এই নিয়োগ পেয়েছে তারা স্কুলে না গিয়ে এই কাজ করলে ছাড় পাবে তাকে কিন্তু প্রশাসন চেপে ধরবে। যাহোক যে সকল সরকারি কর্মচারী এই সব শিক্ষক শিক্ষিকা দের নিয়োগ দিয়েছেন তারা ভালো থাকবেন। আর শিক্ষা তুলে দেওয়ার এই রকম ব্যবস্থা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা সব বড় বড় অফিসার আপনাদের এত কিছু ভেবে কাজ করতে হয় আপনাদের ধন্যবাদ না দিয়ে পরছি না। 

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...