Anulekhon.blogspot.com
Monday, 30 June 2025
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এখন আতঙ্কের।
পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো ধরনের নির্বাচন এখন আতঙ্কের, সে সমবায় নির্বাচন, স্কুল নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আর লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন হলে তো কথাই নেই। শাসক দল বলছে তারা উন্নয়নের জোয়ার এনেছে, তার পরেও মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছে না যে মানুষ তাদের ভোট দেবে। সেই কারণেই কি এই রাজ্যে যেকোনো ভোটে গুলি বন্দুক বোমার এত ব্যবহার না এর পেছনে অন্য কারণ! অবশ্যই অন্য কারণ আছে, এর পেছনে আছে টাকা, লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার খেলা। ২০১১ সালের পর থেকে এটা অতিরিক্ত বেড়েছে, সমবায় সমিতির নির্বাচন সেখানেও নাইন এম এম পিস্তল নিয়ে হাজির শাসক দলের নেতা কর্মীরা। আর পঞ্চায়েত, পৌরসভা নির্বাচন সেখানে বুথের মধ্যেই অর্থাৎ ভোটিং কম্পারমেন্টের ভিতরে দাঁড়িয়ে ভোট নিজেরা দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার বসে বসে মজা দেখচ্ছে। কারণ এখন পঞ্চায়েত পৌরসভার যত প্রকল্প তত কাটমানি এবং এগুলোতেই বেশি সে কারণেই এত লড়াই এবং নিজের দলের লোকজনকেও এরা বিশ্বাস করতে পারো না, লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই মারামারি খুনোখুনি লেগেই আছে। কেউ কাউকে ছাড়বার পাত্র নন, আর ছাড়বেই বা কেন, এসব পুলিশ প্রশাসন সব জানে কিন্তু কিছু বলে না। কোথাও উপর ওয়ালার চাপে নয় তো কাটমানির ভাগ না পাওয়ার ভয়ে। আগে পুলিশ ঘুষ নিত এখন সরাসরি তোলা তোলে কাটমানির ভাগ করে উপর তলায় পাঠিয়ে দেয়। আর বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন সে তো বলে কথা নেই, কে প্রার্থী হবে তার জন্য উপর পর্যন্ত হাত করতে হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকা দিতে হয়। আর উপরের নেতারা বা দলের সর্বোচ্চ মাথা যিনি আছেন তিনি দেখেন কে জিতলে কাটমানি বেশি আসবে তাকেই প্রার্থী করে, আর জেতা মানেই পাঁচ বছরের বেতন এবং এলাকার উন্নয়নের টাকা সে গুলো পকেটে যাবে আর আছে সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকার কাটমানির ভাগ। সে কারণেই যেভাবে হোক জিতে আসতে হবে, আর প্রশাসন যেহেতু সাথে আছে ভোটে জেতা কোনো ব্যাপার না। প্রশাসনের অর্ধেক লোক তো আই প্যাকের অর্থাৎ পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে চাকরি পায় নি, এরা সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি কেবল কাটমানির ভাগ ঠিক করার জন্য এবং বর্তমান শাসক দল কে জিততে সাহায্য করার জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত। E. V. M. কারচুপি সে তো বাঁ হাতের খেল, কারণ ভোট হবার পনেরো দিন পর গননা, এই পনেরো দিন নিজের ইচ্ছে মতো E. V. M. এর মেমোরি পাল্টে দেওয়া কোনো ব্যাপার না। যাদের শান্তি পূর্ণ ভোট করানো দায়িত্ব সেই নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে, নামেই পাহারা দেয় ঐ পাহারা দেওয়া লোক জন গুলো আসলে কাটমানির লোক, সে, যে নির্বাচন কমিশন হোক কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সব সমান কেউ কম যায় না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সেটা যাতে প্রহসনে পরিনত হয় তার সব রকম ব্যবস্থা করে রাখে। ভোটের আগে থেকেই, চলে শাসক দলের সাথে যুক্ত লোকের বোমাবাজি, ভয় দেখানো, ভোটের দিন বুথের ভেতরে ঢুকে ভোট দেওয়া সি সি ক্যামেরা থাকলে উল্টো দিকে করে রাখা বা বন্ধ করে দেওয়া এসব সব চলে পুলিশ প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে কেউ কিছু বলে না, আমার তো মনে হয় এরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে শাসক দলের নেতারা পাহারা দেয়। আগের দিন আসে এসে এলাকার নেতা কর্মীদের সঙ্গে খাতির করে মদ মাংস খেয়ে বন্ধুত্ব করে আর ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট দিতে সাহায্য করে। এতো গেল একটা দিক, আরেকটা দিক আছে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানে খুন হবেই, সে শাসক দলের নেতা কর্মী হোক বা বিরোধী দলের কেউ বিরোধী দলের হলে সে বাড়ির ছোট বাচ্চাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার নেই এতটাই এরা নিশংস। কিন্তু কথা হলো এত বোমা পিস্তল আসে কোথা থেকে? পুলিশ প্রশাসন জানে না, সব জানে ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো উদ্ধার করা হয় না, কারণ দিদির বা দাদার নির্দেশ মরলে সাধারণ মানুষ মরবে সে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যে কেউ হতে পারে। এই পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গ টাকে ব্রিটিশ আমলে নিয়ে চলে গেছে। ইংরেজ পুলিশ যেমন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে মজা দেখত এবং সেই সাধারণ মানুষ যদি প্রতিবাদ করত তাহলে পুলিশ তাদের গুলি করে বা অন্য অনেক রকম শাস্তির ব্যবস্থা করত এখন কার পুলিশ ও ঠিক সেই কাজ করছে বর্তমান শাসকের সাথে মিলে রাজ্য টা কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেবল টাকা চাই কাটমানি চাই, সর্বোচ্চ নেতা মন্ত্রী দের ৭৫% পাঠালেই সব কিছু ঠিক আছে তাতে সাধারণ মানুষ মরুক যেমন করে হোক এই শাসক দল কে ক্ষমতায় আনতে হবে না হলে ভোটের সময় রিগিং বা ছাপ্পা দিতে পুলিশ সাহায্য করে। ব্যালট বাক্স বদলে দেয়, অফিসার গুলো গননার সময় কারচুপি করে এই শাসক দল কে জেতায় কেবল ২৫% কাটমানির ভাগ যেন তারা পায়, যত প্রকার প্রকল্প আছে তত রকম দূর্নীতি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দূর্নীতি আর এই দূর্নীতি করছে এই সব অফিসার গুলো। পশ্চিমবঙ্গ আজ ধ্বংসের পথে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য গেছে, কোনো কিছুই বাকি নেই। পশ্চিমবঙ্গ আজ আগের বিহারে পরিনত হয়েছে এর জন্য দায়ী ঐ অফিসাররা নির্বাচন কমিশন, দল দাস পুলিশ আই প্যাক পি কে আর বর্তমান শাসক দল এরা সকলে মিলে দিল্লীর দাদা এবং আর এস এস এর ইচ্ছেটা পূর্ণ করে দিয়েছে। ভালো থাকবেন দিদি আপনি বাংলা টা আরো ধ্বংস করে দিন। বাঙালি জাতির ভীষণ গর্ব ছিল আর কিছু থাকুক আর না থাকুক তারা শিক্ষা নিয়ে গর্ব করত। ২০১১ সালের আগে ভালো ছিল শান্তি তে অন্তত থাকতে পারত।
Subscribe to:
Posts (Atom)
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...