(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।)
স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে সব অনেক বড় ইতিহাস, তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারত থেকে চলে যাওয়ার সময়, তৎকালীন মুসলিম লীগ এবং হিন্দু দের একটা অংশ যতটা সম্ভব হিন্দু মহা সভা নেতারা এই ভাগ করে ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার আগে ১৯৪৬ সালে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। যাতে করে স্বাধীন চেতা বাঙালি আর স্বাধীনতার দাবি না করে। কারণ তখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ প্রায় থেমে গেছে, আজাদ হিন্দ বাহীনি আত্ম সমর্পণ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ ভাবল যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালি সে কারণেই বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দিলে ভারতের অধিকাংশ রাজ্য আর স্বাধীনতা আন্দোলন করতে সাহস করবে না। কিন্তু বাধ সাধল মুম্বাই নৌবাহিনী সেখানে ব্রিটিশ নৌ বাহিনী তে যে সব ভারতীয় কাজ করতেন তারা বিদ্রোহ আরম্ভ করে দিল আজাদ হিন্দ বাহীনির সদস্যদের মুক্তি চাই, তাদের দেখা দেখি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হল। ব্রিটিশ সরকার ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, এর আগেই মুসলিম লীগ এবং তৎকালীন কিছু হিন্দু নেতার কথা মেনে ভারত ভাগ শুরু হল দুটি দেশ একটি পাকিস্তান তৈরি হলো, ভাগ করা হল বাংলা ও পাঞ্জাব কে কারণ ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এই দুই জাতি বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল। যেহেতু পাকিস্তান হল ব্রিটিশ ভারতের অনেক দেশীয় রাজা এবং ছোট ছোট রাজ্য যেখানে ইসলাম ধর্ম বেশি জিন্নাহ তাদের পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে বললেন। অনেকেই আপত্তি তুলল, কারণ ভারতের মাঝে পাকিস্তান যা কোনো দিন এক সাথে হতে পারবে না। পাকিস্তান বাদে বাকি ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থেকে গেল। এর পেছনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলর অবদান অনস্বীকার্য। যাহোক এত গেল ভারত ভাগের অল্প ইতিহাস যা ইতিহাস বই এ পড়ানো হয়। এখন বর্তমানে ভারতের মধ্যে বাঙালির অবস্থা কেমন, আমি বলছি শোচনীয়, বাংলা দু ভাগ এক ভাগ পশ্চিমবঙ্গ আর ব্রিটিশ আমলের পদ্মার ওপারের পূর্ব বঙ্গ এখন স্বাধীন বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান ছিল ১৯৭১ পর্যন্ত)। এবার আসি বাঙালি বরাবর স্বাধীনতা প্রিয় জাতি কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই বাঙালি বরাবর পরাধীন থেকে গেছে, বাংলা পেয়ে ছিল স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক, পাল রাজ্যত্ব আর সেন বংশ সেই শেষ কারণ সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন খলজির কাছে পরা জিত হবার পর বাংলায় আর কোনো স্বাধীন রাজা রাজ্যত্ব করে নি। এবার ছোট্ট খাটো ভুঁইয়া জমিদার এরা ছিল, এরাও সে ভাবে স্বাধীন ছিল না। আর ধর্মীয় ভাবে নিপীড়িত হিন্দু জন গোষ্ঠীর তথাকথিত নীচু জাত শুদ্র নম শুদ্র এরা উচ্চ বর্ণের অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে ব্যাপক হারে ধর্ম পরিবর্তন করতে থাকে এই বাংলায় ইসলাম বাড়তে থাকে। এর ফলেই স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগের সুবিধা হয়। স্বাধীনতার সময় থেকেই বাঙালি জাতির উপর উত্তর ভারতের মানুষ এবং কিছু ভারতীয় পশ্চিমা রাজ্যের মানুষ বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে উঠে পরে লাগে। তারা নানা রকম ভাবে বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে থাকে। আর ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এবং এপার বাংলায় বসবাস কারি বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয় এবং একটি বিভাজন তৈরি করতে সক্ষম হয়। ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এপার বাংলায় একটা আলাদা জাতিতে পরিনত হয়। তাদের বেশির ভাগ টা এপার বাংলায় একটা অচ্ছুত জাতি হিসেবে গন্য করা হয়। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা হয় কেন বাংলা ভাগ কেন এরা ভিটে মাটি ছেড়ে আত্মিয় স্বজন ছেড়ে এপার বাংলায় চলে আসে। এখনো একটা কথা এপার বাংলায় প্রচলিত আছে এপার বাংলার সব চাকরি বাকরি ক্ষমতা সব ওপার বাংলার মানুষ দখল করে আছে। কিন্তু কেন সে কারণটা এদের শেখানো হয় না। কারণ একটাই ওপার বাংলা থেকে আসা কপর্দক শূন্য ছিন্নমূল মানুষ গুলো জানে তাদের শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এছাড়া কোনো গতি নেই, কারণ এপারে তাদের কোনো জমি জমা নেই যা থেকে চাষ বাস করে দিন যাপন করতে পারে। এই অমোঘ সত্যিই টা ওপার থেকে আসা মানুষ গুলো জানত এবং কঠিন পরিশ্রম করে লেখা পড়া শিখে তারা সরাকারি বা বেসরকারি চাকরি চেষ্টা করে এবং সেসব জায়গায় কাজ করতে থাকে। আমি এপার বাংলার সাধারণ মানুষ কে বলতে শুনেছি ঐ ১০ টাকা বেতন বা ১০০ টাকা বেতনের চাকরি করে কী হবে। ওর থেকে মাঠে খাটলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আর এপার বাংলায় অনেক জায়গায় এপার বাংলার মানুষ চুল্লু বা মদ তৈরি করে তাদের অবস্থা সব থেকে ভালো তারা যা খুশি করতে পারে। এরাই এপার বাংলায় সমাজের গন্য মান্য ব্যক্তি। এরা ঐ একশ বা হাজার টাকা বেতনের চাকরি কে থোরা কেয়ার করে। সে ভাবে লেখা পড়া করেও না অথচ যে চাকরি করে তার উপর এরা - - -! এত গেল সামাজিক দিকের বাঙালি বাঙালি কে ধ্বংস করার উদাহরণ আরো আছে এখানে লিখলাম না। কেন এগুলো করা হয় বা এগুলো এই এপার বাংলার মানুষ করে থাকে কারণ এপার বাংলার মানুষ সঠিক ভাবে শিক্ষিত নয়, অশিক্ষা কুশিক্ষায় ভর্তি এবং সরকারও চায় না এরা সঠিক ভাবে শিক্ষা পাক। আর এখন খোলা খুলি দিল্লী সরকার বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে আরম্ভ করেছে। কোথা এন আর সির নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্পে তথা নতুন জেলখানায় বন্দি করে রাখছে। আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঙালি যারা শ্রমিকের কাজ করে বা বেসরকারি অফিসে কাজ করে তাদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছে। যতই কাগজ পত্র দেখানো হোক সে সব নাকি জাল এবং সব বাঙালি বাংলাদেশি। সেদিন তো একটা ইউ টিউব চ্যানেলে দেখলাম গুজরাত থেকে বেশ কিছু বাঙালি কে জাহাজে করে এনে (হাত এবং চোখ বেঁধে) সুন্দরবনের কোন এক নির্জন দ্বিপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। আগে অত্যাচার করা হচ্ছিল আসামে সেখানে ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৯ লক্ষ বাঙালি বন্দি আছে। অনেকেই জানে না, বাংলা ভাগ করার সময় একটা অংশ আসামের সাথে যুক্ত করা হয় (করিমগঞ্জ) বরাক উপত্যকার একটা অংশ আসামের এই অংশে ১৯৬১ সালে ভাষা আন্দোলন হয় এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ শে মে বেশ কিছু বাঙালির প্রান যায়। এত গেল আসাম এর পর বর্তমান দিল্লীর শাসক বি জে পি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানেই বাঙালি কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। গুজরাতে এবং দিল্লী তে বাঙালি বস্তি বাড়ি গুলো বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে, আর মহারাষ্ট্র, এবং ওড়িশায় বাংলায় তথা পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় হওয়ার যতটুকু কাগজ দেখাক ওতে কিছু হবে না, আর যদি ইসলাম ধর্মের মানুষ হয় তাহলে যতই কাগজ দেখাক সে গুলো ওই সব রাজ্যের কাছে জাল এবং এরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অর্থাৎ তড়িপারের কথায় এরা 'ঘুষবৈঠি' আসলে ঐ তড়িপারের বংশ ধর গন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ছিল ওতে কোনো দোষ নেই, কারণ পাকিস্তান তো পাকিস্তানের যুজু দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় পাকিস্তানের নাম করে মানুষ খুন করা যায় যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা যায়। কিন্তু বাঙালি কেন ব্রিটিশ কে তাড়িয়ে ছিল এটাই আর এস এস এবং বিজেপির দলের গাত্র দাহ, এরা ভীষণ বাঙালি বিদ্বেষী এবং বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য উঠে পরে লেগেছে, এখন বাংলায় ঐ আর এস এস সমর্থিত সরকার চলছে, বাঙালি কে ধ্বংস করার জন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে, কারণ জানে এই চোর বাটপার দূর্নীতি গ্রস্থ সরকার কিছু করতে পারবে না। করলেই জেল, সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে যত বড় বড় আমলা অর্থাৎ সচিব এসেছে বেশির ভাগ গুজরাতি লোক এরা বিভিন্ন ভাবে বাঙালি কে আবার সেই ১৯৪৭ এর পরের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। কারণ বর্তমানে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন দূর্নীতি সেই সচিব পর্যায় পর্যন্ত, তবে ইংরেজ আমলেও বর্তমান শাসকের মত এক দল ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম ছিল যাদের মাধ্যমে ইংরেজরা প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করে গেছে। এই রকম গোলাম পা চাটা দের ঘুষ দিয়ে, ধর্মের নামে বাঙালি কে ভাগ করে রেখে ইংরেজরা শাসন করত, এখন দিল্লির শাসক ও সেই ইংরেজ এবং পশ্চিমবঙ্গে সেই ইংরেজের পা চাটার দল ক্ষমতায়। দেখুন তখন ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানি ব্যবসা করে শোষণ করত এখন গুজরাতের ব্যবসায়ীরা করছে। এখন তো ভারতে গুজরাতি শাসন চলছে একটু খেয়াল করলে দেখবেন ভারতের সংবিধান না মেনে একদম শোষণের চুড়ান্ত পর্যায় নিয়ে চলে গেছে। কিছু বাঙালি আছে খুব লাফালাফি করছে বি জে পি সরকার আসুক, আমি ও এই বাঙালি আরো ধ্বংস হোক ১৯৪৭ সালের আগের অবস্থায় ফিরে আসুক, ১৯৪৩ সালের মত দূর্ভীক্ষ আসুক "বাবু গো একটু ফেন দেবে" বলে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াক তবে তখন কলকাতায় কিছু হলেও বাঙালি ছিল এখন কিন্তু নেই, আর দূর্ভীক্ষ হয়েছিল কারণ হচ্ছে ঐ ভারতের পশ্চিমা রাজ্যের ব্যবসায়ী দের খাদ্য মজুত করে রাখার জন্য। বিজন ভট্টাচার্যের লেখা নবান্ন নাটক এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা বেশ কিছু কবিতা পড়লেই জানা যাবে সেই দূর্ভীক্ষের ভয়াভয় ছবি। যাহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভেজাল ওষুধ খাবেন, ডাক্তারি না পড়ে ডাক্তারি করা ডাক্তার দেখাবেন। ব্যবসায়ী গন ইলেট্রালার বণ্ডে টাকা দেবে আর জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে আপনি পাঁচশ হাজার টাকা ভাতা পাবেন, বেশ চলে যাবে। আর এমন একটা অশিক্ষিত মানুষ এই বাংলায় তৈরি করা হয়েছে যারা পা চাটা ছাড়া আর কিছু জানে না। এখনই দেখছেন দিল্লীর দাদা বা রাজ্যের দিদি যা বলছে তাতেই হাততালি পড়ছে। খুব ভালো থাকুন আর দাদা এবং দিদি কে ভোট দিতে ভুলবেন না। আপনি বা আপনারা ভোট না দিলে কি করে মন্দির তৈরি করে দেবে। একজন রাম মন্দির বানায় তো আরেক জন জগন্নাথ মন্দির। দিদি এবং দিদির ঐ সচিবের দল শিখিয়েছে লেখা পড়া না করে পরীক্ষা না দিয়ে বা সাদা খাতা জমা দিয়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি করা যায় ডাক্তার হওয়া যায়।