সৌজন্য :ছবিটি ডেইলি হান্ট অন লাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া।এই অর্থ মন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী সব কটা এক একটা চরম মিথ্যাবাদী এরা এক বলে ক্ষমতায় আসে এমন কি ভোটের ই ভি এম পাল্টে দিয়েও ক্ষমতা দখল করে কেবল চুরি করার জন্য আর গরীব মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তের গলা কেটে পকেটে ভর্তি করতে। ক্ষমতায় এলো পেট্রোলের দাম রান্নার গ্যাসের দাম কমাবে খাদ্য দ্রব্যের দাম কমানো হবে বলে এই দশ বছরে এমন দাম বেড়েছে যা স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর বছরে বাড়ে নি। কোন কোন জিনিসের দাম একশ গুন বেড়েছে একটা আশ্চর্যের বিষয় ব্রিটিশ সরকার কোন দিন খাদ্য দ্রব্যের উপর ট্যাক্স আরোপ করে নি। বর্তমান এই দ্বিতীয় ইংরেজ সরকার খাদ্য বস্তুর উপর জি এস টি লাগিয়ে দিয়েছে। একজন ছোট খাটো বেতনের চাকরি করা নিম্ন মধ্যবিত্তের গলা টিপে ট্যাক্স আদায় করে আর আদান আম্বানির মত বড় বড় শিল্প পতি দের ট্যাক্স মুকুব থেকে শুরু করে ঋণ মুকুব সব চলছে ব্যাঙ্ক গুলো দেউলিয়া হবার পথে। ব্রিটিশ শোষণ করত এখন গুজরাটিরা ভারত বর্ষ কে শোষণ করছে লুটে খাচ্ছে। কারণ এরা দ্বিতীয় ইংরেজ বিদেশি দের পা চাটা এদের স্বভাব। এরা এত ভালো শাসক যে দিনে কোটি টাকার উপর খরচ করে এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়! হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম একজন কম বেতনের চাকরি করা নিম্ন মধ্যবিত্ত তিন ধরনের ট্যাক্স দিচ্ছে এক পি ট্যাক্স, দুই জি এস টি আর ইনকাম ট্যাক্স। ইনকাম ট্যাক্সের কি সুন্দর ব্যবস্থা, ঘোষণা করা হচ্ছে সাত লাখ পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড় কিন্তু যেই সাত লাখ এক টাকা হচ্ছে তখন তিন লাখ ছাড় আর পঁচাত্তর হাজার কি স্ট্যান্ডার্ড ছাড় বাকি প্রথম দু লাখে পাঁচ শতাংশ আর বাকি তে দশ শতাংশ গলা টিপে আদায় করে নিচ্ছে। ব্যাঙ্কে যান এ্যাকাউন্টে যদি হাজার টাকার কম রেখেছেন পনেরো দিন পর দেখবেন সেই হাজার টাকার নীচের টাকা নেই কেটে নিয়েছে। আর যদি এ টি এম কার্ড থাকে তাহলে তো কথাই নেই নানা অজুহাতে টাকা গায়েব আপানার ব্যক্তি গত সব তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আর সেই তথ্য দিয়ে বিশেষ করে যে কেউ আপনার কোন এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সব দেখে নিচ্ছে। অর্থাৎ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত আজ চরম শোষণের শিকার। আচ্ছা কেউ কোনো দিন শুনেছেন আদানি বা আম্বানির বা ঐ রকম কোন ব্যক্তির এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে না শুনবেন না। আচ্ছা কোন মন্ত্রীর এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে শুনেছেন না শুনবেন না কারণ তাদের সব কিছুতেই ছাড় জনগণের টাকায় তারা বসে বসে আয়াস করে কম দামে খাবার সব কিছুতেই ছাড় পাঁচ বছর থাকলেই পেনশন আর একটা কর্মী দশ কুড়ি বছর চাকরি করবে এমন আইন করেছে তাকে পেনশন দেবে না। এদের গালাগাল দিলেও এদের কিছু হবে না। এরা মানুষ নয় এদের মানুষ বললে বনের পশুরা লজ্জা পাবে। এমন ভালো কাজ করে সব কটা সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ঘোরে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রী তাদের তো কথাই নেই প্রস্রাব করতে গেলেও সিকিউরিটি গার্ড লাগে সে পঞ্চায়েতের ছোট নেতা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সকলের এই সিকিউরিটির পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ। এখন এমন দেখা যাচ্ছে সরকার সিকিউরিটি গার্ড দেয় নি সে নিজে বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ঘুরছে, নেতা যাচ্ছে তার দু পাশে কালো গেঞ্জি কালো প্যান্ট কালো চশমা পরে তার বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড যাচ্ছে। আর হবে না কেন এমন এক জন নেই যে চুরি করে না। এখন তো বি ডি ও অফিস থেকে পঞ্চায়েত অফিসের কর্মচারী যে যেমন পারছে লুটে নিচ্ছে। সে মিড ডে মিলের চাল থেকে টাকা, লক্ষী ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কোথায় চুরি নেই সর্বত্র। বিশেষ করে রাস্তা তৈরি দারুণ ব্যবস্থা একজন ঠিকাদার কে জিজ্ঞেস করে ছিলাম ভাই তুমি তো পিচ রাস্তা করলে কিন্তু তিন মাস পর পিচ আর খোওয়া সমেত উঠে চলে যাচ্ছে। সে রসিকতা করে বলল দেখ ভাই গুর একটু বেশি করে দিয়ে ছিলাম ঐ জন্য গরু আর কুকুরে চেটে খেয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ দেওয়ার কথা তিন ইঞ্চি মোটা কিন্তু নেতার চাপে সেটা হয়েছে হাফ ইঞ্চি কারণ না এলাকার ছোট বড় নেতা রাস্তায় কাজ করতে দেবে না। রাস্তার পাশে মাল মেটেরিয়ালস রাখতে দেবে না। ছাড়ুন এসব যে কথা বলতে বা লিখতে গেলাম হল না অন্য কথায় চলে গেলাম। এখন এই সরকার কোন কিছুর দাম কমাবে না যাতে দাম বাড়ে তার নানা ব্যবস্থা, আচ্ছা একবার ভাবুন তো পেট্রোলে, ইলেকট্রিকে জি এস টি নেই কেন? আর এখন পশ্চিমবঙ্গে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম সে তো বলার নেই যে কোনো ভাবে প্রতি মাসে এরা গলা কাটছে। তিন মাস অন্তর বিল দিচ্ছে স্যালাব বেড়ে যাচ্ছে বেশ গলা কেটে দাম নেওয়া যাবে। এখন তো আবার স্যালাব কে তিন ভাগের এক ভাগ করে দেওয়া হয়েছে যাতে আরও বেশি আদায় করতে পারে। সব কটা চোর আর মিথ্যাবাদী।
Anulekhon.blogspot.com
Friday, 31 January 2025
Tuesday, 28 January 2025
মি ডে মিলের সোশ্যাল অডিট।
বাম আমলে কিছু বাম বিরোধী শিক্ষক শিক্ষিকা দের বলতে শুনেছি পারলে পঞ্চায়েতের চৌকিদারকে স্কুল ভিজিটে পাঠায়। এখন যা দেখছি পঞ্চায়েতের চৌকিদার নয় পাড়ার দু তিন জন মহিলা কে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সোস্যাল অডিটের নামে স্কুল পরিদর্শনে তারা এসে যাবতীয় খাতা পত্র দেখছে বিশেষ করে মিড ডে মিলের খাতা হিসেবে আর ও দিকে মিড ডে মিল খাওয়ার টাকা এবং চাল সময়ে নেই, প্রতি বারে টাকা এবং চালের পরিমাণ কমছে। বিশেষ করে বেশি ছাত্র ছাত্রী আছে এরকম স্কুলে, সব মেনে নিতে হবে না হলে বিপদ আছে। এই পাড়ার মহিলা দলের বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে ভি আর পি। তারা নাকি স্কুলের সব কিছু দেখবেন এবং ছবি তুলে নিয়ে যাবেন। নেতিবাচক কিছু থাকলে বিডিও প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা কে ধমকানি দেবে। মিড ডে মিল টাকা সে তো ডুমুরের ফুল কবে আসবে কেউ জানে এবং কত দিনের দেওয়া হবে কত টাকা দেওয়া হবে সেটাও শিক্ষক শিক্ষিকা জানে না। আবার খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না কারণ বাচ্চা দের জন্য। আরেকটা বিষয় আছে বিকেল চারটের মধ্যে এস এম এস পাঠাতে হবে এটা বাধ্যতামূলক। এবার টাকার কথায় আসি, মিড ডে মিলের সব কিছু প্রধান শিক্ষক ঋণ করে আনবেন এবং কখনো এক মাস, কখনো তিন মাস পর টাকা দেওয়া হবে দেখা গেল যত টাকা খরচ হয়েছে তত টাকা এলো না। এবার ঋণের দায় প্রধান শিক্ষক এর, আরেকটা ভালো বিষয় এখন চালু হয়েছে, গ্যাস নেওয়ার জন্য মিড ডে মিল এ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হয়, কারণ রান্নার গ্যাস ধারে বা ঋণ করে ক্রয় করা যাবে না। টাকা দেওয়ার সময় লক্ষ্য করা হচ্ছে এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সেটা কেটে টাকা দেওয়া হচ্ছে। জানা ছিল যত জন ছাত্র ছাত্রী তার ৮৫% এর টাকা দেওয়া হবে। এখন মনে সেটা হয় সেটা হয় না, কারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানো হয় না কত দিনের টাকা আর কত জনের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তোমাকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে হবে না হলে ঐ ভি আর পি আরো কিছু আছে যারা ভিজিটে এসে আস্থির করে তুলবে। এরা সব জানে, জানে যে চেক পেমেন্ট করতে হলে এ্যাকাউন্টে টাকা থাকতে হবে না হলে চেক বাউন্স হবে ধরবে কাকে না প্রধান শিক্ষক কে। আমি জানি না এই মিড ডে মিলের টাকার যে অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের তারা এই রকম টাকা কেটে টাকা দেয় কি না! কিন্তু এরা সব দিক থেকে প্রধান শিক্ষক দের বিপদে ফেলে দিচ্ছে এক দিকে ঋনের ফাঁদ আরেক দিকে টাকা, ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে কেটে নেওয়া, যাতে চেক বাউন্সের বিপদে পড়ে, দারুন চলছে কিছু বলার নেই। এরাই ২০১১ সালে এপ্রিল মে জুন এর টাকা দেয় নি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...