Anulekhon.blogspot.com

Monday, 19 October 2020

পুজো নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রায় কে স্বাগত।


 বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রায় কে  সম্মান জানিয়ে কয়েকটি কথা না লিখে পারলাম না। কোর্ট সুন্দর রায় দিয়েছেন প্রতিটি পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি মানুষের ঢোকা নিষেধ, কি জানি যিনি পুজো করবেন তিনি মানুষ হবেন তো! মানুষ ভির করে ঠাকুর দেখতে পারবে না, কেস হলো শুনলাম টাকা দেওয়া নিয়ে, আর রায় হোল ঠাকুর দেখা নিয়ে। আমি বলব একদম সঠিক কাজ কোন রকম কথা হবে না এই রায় নিয়ে এই বিশ্ব মহামারীর সময় যেখানে জমায়েত করলে করোনা বেড়ে যাবে। আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম যে তাহলে সরকারের কোষাগার থেকে জনগণের করের টাকা পুজো কমিটি গুলো কে বিতরণ করে পুজো করানো হচ্ছে। কারণ এ বছর অনেক পুজো কমিটির ইচ্ছা ছিল না মুর্তি এনে ঘটা করে পুজো করার, কোথাও কোথাও ছোট করে পুজো হবে বলে ঠিক ছিল, কিন্তু দিদি আমাদের কল্পতরু হয়ে পুজো করার জন্যে ৫০ হাজার টাকা করে দিলেন পুজো করতে, কেন সামনে বিধানসভা নির্বাচন, এইটা না করলে সাধারণ মানুষ আনন্দ পাবেন কি করে? মহামারী কাজ নেই সকালে উঠে কি খাবে তার দেখা নেই, রাজ্যযে খেটে খাওয়া মানুষের কাজ নেই, জিনিসপত্র দাম আকাশ ছোঁয়া মানুষের হাতে টাকা নেই, তাতে কি? কোর্টের রায় দারুণ রায় অনেকেই কি আনন্দ পেয়েছেন। একবার বুঝলেন না জনগণের করের টাকা নষ্ট করা হলো কারণ তারা ঠাকুর দেখতে পারবেন না। মণ্ডপে ঢোকা নিষেধ, কেউ তো বাস চলাচল নিষিদ্ধ করার মামলা করছে না। অটো টোটো ট্রেকার মটোর পরিবহণ সর্বত্র ভিরে      ভিরাক্কার পা দিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে তার উপায় নেই। আর বাজার গুলো  একবার ঘুরে এলে দেখা যাবে কি অবস্থা। সমস্ত রকম অফিস সরকারি বেসরকারি সব খোলা দোকান বাজার খোলা, বন্ধ   স্কুল কলেজ আর গন পরিবহনের প্রধান অঙ্গ লোকাল ট্রেন যেটা চালু করা হলে অন্তত বাসে ঝুলতে ঝুলতে কোলকাতা যেতে হবে না। রাজ্য দেয় রেলের দোষ আর রেল দোষ দেয় রেলের মাঝে পরে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের একটু খরচ বাঁচত। যদি বা অনেক কষ্টে কিছু টাকা এনে সংসার চালাতে চেষ্টা করছে.   প্রান্তিক মানুষ গুলো দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে তারা যাওয়া আসা করছে। তাদের রেহাই নেই, আবার কি পুজো করার জন্যে     অস্থায়ী ইলেকট্রির মিটার নিলে পুজো কমিটির লোকদের জন্য    অর্ধেক। অথচ খেটে খাওয়া মানুষের বিদ্যুৎ বিল আকাশ ছোঁয়া। খুব ভালো ব্যযবস্থা তাই না। ঐ যে হীরক রাজার দেশের সেই কথাটা, বাকি রাখা খাজনা /মোটে ভালো কাজ না। দুবেলা জোটে না ভাত তাতে কি তবুও রাজ কর দেওয়া চাই। এসব নিয়ে কেউ কেস ও করেনা আর কোর্ট ও রায় দেন না। গরীব মানুষের বেঁঁচে থাকাটা আজ বড়ো দায় হয়ে গেছে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...